Monday, August 31, 2015

নামায পরিত্যাগ করার পরিণাম ও শাস্তি



কুরআন ও হাদীসে নামায আদায়কারীর প্রতিদানের কথা যেমন বর্ণনা করা হয়েছে; তার সাথে সাথে নামায তরক কারীর ভয়াবহ পরিণাম ও শাস্তির কথাও বর্ণনা করা হয়েছে। যদি ও এ প্রসংগে একটি বানী-ই যথেষ্ট ছিল। তাসত্বেও মহান আল্লাহ এবং তাঁর প্রিয় হাবীব আমাদের প্রতি দয়া পরবশ হয়ে নামায পরিত্যাগ করার শাস্তি ও ইহার ভয়াবহ পরিণতির প্রতি বারবার আমাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। এবং নানা ভাবে আমাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন। যাতে লোকেরা তওবা করে সঠিক নামাযী হয়ে যেতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ নিম্নে মাত্র কয়েকটি কুরআনের বাণী ও হাদীস উল্লেখ করা গেল।
বে-নামাযীর শাস্তি ও পরিণাম সংক্রান্ত আল-কুরআনের বাণী :
১. বিবাদ ও পতনের মূল কারণ নামায ত্যাগ করা
ইরশাদ হচ্ছে,
فخلف من بعدهم خلف اضاعوا الصلوة و اتبعوا الشهوات فسوف يلقون غيا- الا من تاب و امن وعمل صالحا
“তাদের পরে যারা তাদের স্থলাভিষিক্ত হল, তারা নামায নষ্ট করল এবং নফসের লালসা-বাসনার অনুসরন করল। সুতরাং তারা অচিরেই এই কুকর্মের শাস্তি ভোগ করবে। অবশ্য তারা ব্যতীত যারা তওবা করেছে, ঈমান এনেছে ও সৎকর্মশীল হয়েছে”। [ সূরা মারয়াম-৫৯]
২. বে-নামাযী ‘সাকার’ নামক জাহান্নামে প্রবেশ করবে ::
ইরশাদ হচ্ছে,
كل نفس بما كسبت رهينة الا اصحب اليمين- في جنت يتساءلون عن المجرمين- ماسلككم في سقر- قالوا لم نك من المصلين ولم نك نطعم المسكين وكنا نخوض مع الخائضين وكنا نكذب بيوم الدين- حتي اتنا اليقين فما تنفعهم شفاعة الشافعين-
“প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের দায়ে আবদ্ধ, তবে ডানপন্থীগণ (জান্নাতীগণ) ব্যতীত। তারা থাকবে জান্নাতের বাগানে এবং তারা অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে কোন জিনিস তোমাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে এল? তারা বলবে আমরা মুসল্লীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম না, আমরা মিসকিনদেরকে খাবার দিতাম না, আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করে বেড়াতাম এবং আমরা কর্মফল দিবসকে অস্বীকার করতাম। শেষ পর্যন্ত আমাদের নিকট নিশ্চিত মৃত্যুর আগমন ঘটল। এমতাবস্থায় সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন উপকারে আসবে না”। [ সূরা আল মুদ্দাচ্ছির-৩৮-৪৮]
৩. যথাযথভাবে যারা নামায আদায় করেনা তাদের শাস্তি ::
ইরশাদ হচ্ছে,
فويل للمصلين الذين هم عن صلاتهم ساهون
“সুতরাং দুর্ভোগ/ওয়াইল নামক দোযখের কঠিন শাস্তি সেই নামায আদায়কারীদের জন্য যারা তাদের নামায সম্পর্কে উদাসীন”। [ সূরা মাউন-৪-৫]
৪. হাশরের ময়দানে বেনামাযী মারাত্মক অপমানিত হবে ঃ
ইরশাদ হচ্ছে,
يوم يكشف عن ساق و يدعون الي السجود فلا يستطيعون خا شعة ابصارهم ترهقهم ذلة وقد كانوا يدعون الي السجود وهم سلمون-
“স্মরণ কর সেই চরম সংকটময় কিয়ামত দিবসের কথা যেই দিন তাদেরকে আহবান করা হবে সিজদা করার জন্য কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবেনা। তাদের দৃষ্টি অবনত, হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল, তখন তো তাদেরকে আহবান করা হয়েছিল সিজদা করতে। (কিন্তু তারা সিজদা করেনি)। [ সূরা আল ক্বালাম-৪২-৪৩]
আল্লাহ তা’আলার সর্তকতা। কি মারাত্মক অপমান ও যিল্লাতী হবে বে-নামাযীর। হাশরের ময়দানে হযরত আদম আ. থেকে শুরু করে দুনিয়ার শেষ মানুষটি পর্যন্ত একত্রিত হবে। কোন প্রকার পর্দা বা অন্তরাল থাকবেনা। এমনি সময়ে বে-নামাযীরা তাদের দয়াবান আল্লাহকে সিজ্দা করতে সক্ষম হবেনা।
বে-নামাযীর ভয়াবহ পরিণাম সংক্রান্ত আল হাদীসের বাণী ঃ
১. নামায তরক করা কুফরী কাজ
রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন,
من ترك الصلوة متعمدا فقد كفر
যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে নামায ছেড়ে দেয় (ঐ ক্ষেত্রে কার্যত) সে কাফির হয়। [ মিশকাত]
২. বে-নামাযীর মুসলমানিত্ব থাকে না ঃ
রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন ঃ
لاتتركوا الصلواة متعمدين فمن تركها متعمدا فقد خرج عن الملة
“তোমরা ইচ্ছা করে কোন নামায ছেড়ে দিওনা। কেননা, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে নামায ছেড়ে দিবে, সে মিল্লাতে ইসলামের বহির্ভূত হয়ে যাবে”। [ তাবরানী]
৩. বে-নামাযীর অপূরণীয় ক্ষতি ঃ
নবী করীম সা. বলেছেন,
من فا تته صلواة فكا نما وتر اهله وما له
“যার এক ওয়াক্ত নামাযও ছুটে যায়, তার অবস্থা এমন যেন তার সকল পরিবার পরিজন ও ধন সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া হল”। [ ”ইবনে হাববান, দুররে মানছুর]
৪. বে-নামাযীর থেকে আল্লাহর দায়িত্ব উঠিয়ে নেয়া হয় ঃ
রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন,
لاتتركن صلواة مكتوبة متعمدا فان من ترك صلواة مكتوبة متعمدا فقدبرءت منه ذمة الله-
“স্বেচ্ছায় কখনো ফরয নামায ছেড়ে দিওনা। কেননা, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ফরয নামায ছেড়ে দেয়, তার উপর হতে আল্লাহর জিম্মা (দায়িত্ব) উঠে যায়”। [ ”আহমদ, তাবরানীপ]
৫. বে-নামাযী সীমাহীন কালের জন্য জাহান্নামে থাকবে ঃ
নবী করীম সা. বলেন,
من ترك الصلواة حتي مضى وقتها ثم قضي عذب في النار حقبا-¬
“যে ব্যক্তি নামায এমনিভাবে ছেড়ে দেয় যে, উহার ওয়াক্ত চলে যায়। অতঃপর ক্বাজা আদায় করে দেয়। তবুও যথাসময়ে না পড়ার দরূন এক ‘হোকবা’ পর্যন্ত জাহান্নামের আগুনে তাকে শাস্তি দেয়া হবে।”
(প্রতি ‘হোকবার’ পরিমাণ দুই কোটি অষ্টাশি লক্ষ বৎসর)। [ মাজালিসুল আবরার]
৬. বে-নামাযীর শাস্তি প্রসংগে হুজুরের সা. স্বপ্ন ঃ
একবার ফজরের নামাযের পর নবী করীম সা. একটি স্বপ্নের কথা এভাবে বর্ণনা করেনঃ দুইজন লোক এসে আমাকে তাদের সংগে কোথাও নিয়ে গেলেন। এরপর আমি স্বপ্নে বেহেশত দোযখ দেখলাম এবং দোযখে বিভিন্ন ধরনের আযাব হওয়ার দৃশ্য দেখলাম।
তার মধ্যে এক ব্যক্তিকে দেখলাম, পাথরের আঘাতে তার মাথা চুর্ণ-বিচুর্ণ করা হচ্ছে। পাথরটি এত জোরে নিক্ষেপ করা হচ্ছে যে, উহা ছিটকে বহুদুরে চলে যায়। পুণরায় পাথরটি তুলে আনা হয় সেই ফাঁকে লোকটির মাথাটি ঠিক হয়ে যায়। এইভাবে পরপর করা হচ্ছে। তখন নবী করীম সা. সংগীদ্বয়কে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তারা বললেন ঃ লোকটি কুরআন শরীফ পড়েছিল, কিন্তু সে উহার তিলাওয়াত ও তদানুযায়ী আমল করা ছেড়ে দিয়েছিল এবং ফজর নামায না পড়েই শুয়ে থাকত। [ বুখারী]
৭. বে-নামাযীর হাশর হবে বড় বড় কাফিরদের সাথে ঃ
নবী করীম সা. ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি যথাযথ ও সঠিকভাবে নামায আদায় করতে থাকবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য হবে নূর (হিসাবের জন্য) হবে অকাট্য দলীল এবং পূর্ণমুক্তি নির্দিষ্ট হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি নামাযের হিফাজত করেনা, তার জন্য নূর, অকাট্য দলীল এবং মুক্তি কিছুই হবেনা। বরং সে কারূন, ফেরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খালফ নামক মুনাফিক কাফেরদের সাথে জাহান্নামে যাবে। [ আহমদ, দারমী, বায়হাকী]
আলোচ্য হাদীসে বে-নামাযীর নিকৃষ্ট পরিণামের কথা বুঝাবার জন্য নবী করিম সা. মানব ইতিহাসের চারজন নিকৃষ্ঠতম ব্যক্তির উল্লেখ করে বলেছেন, বে-নামাযী লোক কিয়ামতের দিন ঐ চার ব্যক্তির সংগী হবে।
চার ব্যক্তির সংগী হবার কারণ ব্যাখা প্রসংগে আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহ. এবং ইমাম ইবনুল কায়্যিম রহ. স্ব স্ব গ্রন্থে লিখেছেন’ হয় সে তার ধন-সম্পদের ব্যাপারে বেশী মশগুল থাকার কারণে নামায সংরক্ষণ করবেনা, অথবা, দেশ শাসনের রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকার দরূন অথবা ওজারতী ও সরকারী বেসরকারী চাকুরী জনিত ব্যস্ততার কারণে কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে ব্যতিব্যস্ততার দরূন।
অতএব, নামায না পড়ার কারণ যদি ধন-সম্পদের ব্যাপারে বেশী মশগুল থাকার দরূন হয় তার পরিনতি হবে কারূনের সাথে। আর রাষ্ট্রীয় কাজের দরূন হলে তার পরিণতি হবে ফেরাউনের সাথে। জাতীয় বা দায়িত্বপূর্ণ চাকুরীর কারণে হলে সে পরকালে হামানের সঙ্গী হবে। আর ব্যবসা বাণিজ্য ও কৃষিকাজের জন্য নামায ত্যাগকারী উবাই ইবনে খালফের সাথে হাশর হবে।
৮. বে-নামাযীর জন্য ১৪ প্রকার শাস্তি নির্ধারিত হয়েছে::
হাদীস শরীফে এসেছেঃ যে ব্যক্তি নামাযের ব্যাপারে অবহেলা প্রদর্শন করে। আল্লাহ তায়া’লা তাকে চৌদ্দ প্রকার শাস্তি প্রদান করেন।
পাঁচ প্রকার শাস্তি দুনিয়াতে -৫
তিন প্রকার মৃত্যুর সময়ে -৩
তিন প্রকার শাস্তি কবরে -৩
তিন প্রকার কিয়ামতের দিন -৩
মোট ১৪ প্রকার শাস্তি
দুনিয়ায় পাঁচ প্রকার শাস্তি:
১. তার জীবন ও জীবিকার বরকত কেড়ে নেয়া হবে।
২. তার চেহারা হতে নেক্কার লোকদের নূর মুছে ফেলা হবে।
৩. সে যেকোন নেক আমল করুক আল্লাহ তায়া’লা তাতে কোন ছওয়াব দান করেন না।
৪. তার কোন দো’য়াই কবুল হয়না।
৫. নেককারদের দো’য়ায় তার কোন অংশ থাকে না। অর্থাৎ উক্ত দো’য়ার বরকত হতে বঞ্চিত থাকে।
মৃত্যু কালিন তিন প্রকার শাস্তি:
১. অপমানিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় তার মৃত্যু হবে।
২. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করবে।
৩. চরম তৃষ্ণার্ত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে। যদি সমস্ত পৃথিবীর সাগরের পানিও তাকে পান করান হয়, তবুও তার তৃষ্ণা নিবৃত্ত হবেনা।
কবরের তিন প্রকার শাস্তি :
১. তার কবর এত সংকীর্ণ করা হবে যে, তার এক পাঁজরের হাড় অন্য পাঁজরের মধ্যে ঢুকে যায়।
২. তার কবরে আগুন জ্বালানো হয়, সে উহার শিখার উপর দিনরাত উলট-পালট অবস্থায় দগ্ধ হতে থাকে।
৩. তার কবরে একটি ভয়ংকর বিষধর অজগর নিয়োগ করা হবে। যার চোখ দু’টি আগুনের এবং নখরগুলি লোহার তৈরী হবে। অজগরটি বজ্রের ন্যায় আওয়াজ দিবে এবং মৃত ব্যক্তিকে চব্বিশ ঘন্টা রাতদিন কিয়ামত পর্যন্ত দংশন করতে থাকবে।
কিয়ামতের তিন প্রকার শাস্তি ঃ
১. অত্যন্ত কড়াকড়ি ভাবে বে নামাযীর হিসাব নেয়া হবে।
২. তার উপর আল্লাহর কহরের শাস্তি হবে।
৩. অত্যন্ত অপমানের সাথে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
অপর এক বর্ণনায় এসেছে:
কিয়ামতের দিন বে-নামাযীর কপালে তিনটি লাইন লিখা অবস্থায় উঠবে।
“হে আল্লাহর হক বিনষ্ট কারী।
হে আল্লাহর গজবের পাত্র।
দুনিয়াতে তুমি যেভাবে আল্লাহর হক নষ্ট করেছ,
সে রূপ আজ তুমি আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত”। [ জাওয়াজেরে ইবনে হাজর মককী, ফাজায়েলে নামায]
৯. বে-নামাযীর স্থান ও তার প্রতি ঘৃণা :
ক. বে-নামাযী জিনাকার এবং বদকার থেকে ও নিকৃষ্ট :
বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের একজন মহিলা একবার হযরত মুসা আ. এর নিকট এসে আরয করলঃ হে মুসা; আমি জিনার মত জঘন্য পাপ করেছি তাতে আমার সন্তান হয়েছিল কিন্তু সন্তানটিকেও আমি মেরে ফেলেছি।
পরে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দরবারে আমি তওবা করেছি। তবে যদি আপনি আমার পক্ষ হতে তওবা কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট দো’য়া করতেন অবশ্যই আমার দো’য়া কবুল হত। হযরত মুসা আ. রাগান্বিত হয়ে বললেন, দূর হও এখান থেকে। তোমার পাপে আমরাও কি ধ্বংস হব? অতঃপর মহিলাটি ভয়ে সেখান থেকে চলে গেল।
অতঃপর হযরত জিবরাইল আ. হযরত মুসার নিকট অহী নিয়ে এসে বললেন, হে মুসা! ঐ জিনাকার মহিলাটির চেয়ে আর কোন বড় পাপী কেউ আছে কি? হযরত মুসা আ. বললেন উহা অপেক্ষা বড় পাপী কে হতে পারে? তখন আল্লাহর পক্ষ হতে ইরশাদ হলো হে মুসা! আপনার ধারণা ঠিক নয়। যে ব্যক্তি জেনে শুনে ইচ্ছা করে নামায পড়ে না, সে ঐ জেনাকারিনী ও অন্যায় ভাবে আপন সন্তান হত্যাকারিনী মহিলার চেয়েও অধম ও নিকৃষ্ট। [ মেরী নামায]
খ. নামাযে অবহেলাকারী ব্যক্তি শয়তানের ন্যায় অভিশপ্ত ঃ
বর্ণিত আছে আগেকার যুগে শয়তান মানুষের দৃষ্টি গোছর হত। একবার এক ব্যক্তি তাকে দেখে বলল, হে শয়তান! তুমি আমাকে এমন একটি পথ বাতলিয়ে দাও, যাতে আমিও তোমার মত অভিশপ্ত হতে পারি।
শয়তান বড় আশ্চর্য হয়ে বলল, আজ পর্যন্ত আমার নিকট এরকম দরখাস্ত তো কেউ করেনি। তোমার এমন কোন প্রয়োজন দেখা দিল যে, আমার নিকট এরকম দরখাস্ত করলে? সে ব্যক্তি বলল, ইহা আমার নিছক একটি অভিলাষ মাত্র। আর কিছু নয়। তখন শয়তান বলল, আমার মত হওয়ার পথ একেবারে সহজ, আর তাহলো নামাযে অবহেলা করতে থাক এবং সত্য মিথ্যার পরোয়া না করে কসম খেতে থাক।
লোকটি তখন শপথ নিল, আমি আল্লাহর নিকট ওয়াদা করছি যে, আমি কখনো কোন নামায ত্যাগ করব না এবং এতটুকু অবহেলাও করবনা। এবং কখনো কসম খাবনা। এটা শুনে শয়তান বলল, তুমি ছাড়া আজ আমাকে কেউ ধোকা দিয়ে এভাবে কথা আদায় করতে পারে নাই। তাই আমিও ওয়াদা করছি যে, মানুষকে আর কখনো উপদেশ দিতে যাবনা। [ তামবিহুল গাফেলীন, আবুল লাইস ছমরকন্দী/ ফাজায়েলে নামাজ]
গ. বে-নামাযী মহা ক্ষতিগ্রস্ত, অকৃতজ্ঞ ও মহাপাপী ঃ
আল্লামা সফীরী রহ. বলেন, ফেরেশ্তাগণ
ফজরের নামায পরিত্যাগকারীকে “ইয়া ফাজির (হে দুষকৃতকারী)”,
জোহরের নামায পরিত্যাগকারীকে “ইয়াখাসির” (হে ক্ষতিগ্রস্ত) ,
আসরের নামায পরিত্যাগকারীকে “ইয়া আ’ছী” (হে মহাপাপী)”,
মাগরিবের নামায পরিত্যাগকারীকে “ইয়া কাফির” (হে অকৃতজ্ঞ)” এবং
ই’শার নামায তরককারীকে “ইয়া মুদ্বী’অ” (হে আল্লার হক নষ্টকারী) বলে সম্বোধন করে থাকে।
[ গায়াতুল মাওয়ায়েজ, ফাজায়েলে নামায]
ঘ. নামায পরিত্যাগকারী পাড়া, মহল্লা এলাকার প্রতি বালা মুসীবত নাযিল হয়ঃ
আল্লামা শা’রানী রহ. বলেনঃ যে সকল পাড়া বা এলাকার লোক নামায পড়ে না, সবধরনের বালা মুসীবত সেখানেই নাযিল হয়। এসব এলাকায় ভূমিকম্প, বজ্রপাত, বাড়ীঘর ধ্বসে যাওয়া, ঘুর্ণিঝড়, হ্যারিকেন, সুনামী, টর্নেডোতে আঘাত হানা কোনোটি বিচিত্র নয়। সেখানের কেউ যেন এরূপ ধারণা না করে যে, আমি তো নামাযী আছি, অন্যরা নামায পড়–ক বা না পড়–ক তাতে আমার কি? কেননা, বালা মুসীবত যখন নাযিল হয় তখন ব্যাপক ভাবেই নাযিল হয়।
হাদীস শরীফে এসেছে, একজন সাহাবী নবী করীম সা. এর নিকট আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে নেক্কার লোক বর্তমান থাকা অবস্থায় ও আমরা ধ্বংস হতে পারি? নবী করীম সা. বললেন হ্যাঁ, যখন অন্যায় ও পাপাচার ছড়িয়ে পড়বে। কারণ, নেক্কার লোকদের কর্তব্য হচ্ছে অন্য লোকদেরকে সাধ্যানুযায়ী অন্যায় কাজ হতে বিরত রাখা ও সৎকাজের আদেশ করা। [ফাজায়েলে নামায]
ঙ. বে-নামাযীর শাস্তির ধরন ঃ
হাদীস শরীফে আছে, বে-নামাযীর দু’হাত জিঞ্জির দ্বারা বেঁেধ ফেরেশতাগণ তার মুখমণ্ডল ও পৃষ্ঠ দেশে আঘাত হানতে থাকবে।
অন্য এক হাদীসে আছে, জাহান্নামে ‘লমলম’ নামে একটি উপত্যকা আছে। উটের গ্রীবার ন্যায় মোটা এবং একমাসের পথের ন্যায় দীর্ঘ ভয়ংকর ভয়ংকর সাপ দ্বারা উহা পরিপূর্ণ। সেখানে এরা বে-নামাযীদেরকে দংশন করে শাস্তি দিতে থাকবে।
অপর এক হাদীসে আছে, জাহান্নামে ‘জুব্বুল হুয্ন’ নামে একটি ময়দান আছে। উহা শুধু বিরাট আকারের বিচ্ছু দ্বারা পরিপূর্ণ। এক একটি বিচ্ছু খচ্চরের মত উঁচু ও মোটা। বে নামাযীদেরকে দংশন করার জন্যই এগুলিকে সৃষ্টি করা হয়েছে। [ফাযায়েলে নামায]
চ. বে-নামাযীর কোন ওজর আপত্তি গ্রহণ করা হবেনা
১. শাসন ও রাজকার্য বা চাকুরীর ওজরঃ
শাসন ও রাজকার্যে নিয়োজিত ব্যক্তি বা সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন পদে চাকুরীরত ব্যক্তিরা যদি এসব দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে কিয়ামতে ওযর পেশ করে যে, এসব কাজের ব্যস্ততার কারণে নামায পড়তে পারিনি।
আল্লাহ তা’য়ালা তখন হযরত দাউদ আ., হযরত সোলাইমান আ. প্রমুখ রাষ্ট্রনায়ক ও সরকার পরিচালনাকারী নবীগণকে হাজির করে বে-নামাযীকে প্রশ্ন করবেন, রাজত্ব বা সরকারী চাকুরী যদি নামাযের পথে বাঁধা হতো, তাহলে তাঁদের ও নামায তরক করতে হত। অথচ তাঁরাতো কখনো নামায ত্যাগ করেন নাই। অতএব, তোমার অলসতাই তোমার নামায ত্যাগ করার কারণ। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা ফেরেশতাকে বলবেন, যাও, একে জাহান্নামে নিক্ষেপ কর।
২. রোগ-যন্ত্রণা বা স্বাস্থ্যহানীর ওজর ঃ
কেউ যদি কিয়ামতে এ ওজর পেশ করে যে, রোগ-যন্ত্রণা ও স্বাস্থ্যহানীর দরূন আমি নামায পড়তে পারিনি, তখন আল্লাহ তা’য়ালা কঠিন পীড়াগ্রস্ত আইউব আ. কে হাজির করে বে-নামাযীকে প্রশ্ন করবেন যে, তুমি মিথ্যাবাদী, কারণ, রোগ যদি সত্যিই নামায পড়তে বাধা হত তাহলে আইয়ুব একবার ও নামায পড়তে পারতেননা। অথচ তিনি এক মুহূর্তের জন্যও আল্লাহকে ভূলে যাননি। সুতরাং রোগ বা স্বাস্থ্য খারাপ হওয়া তোমার ছলনা মাত্র। অলসতা করে তুমি নামায পড়নাই। এরপর ফেরেশতাকে বলবেন, যাও, একে জাহান্নামে নিক্ষেপ কর।
৩. রুজি-রোজগারে অত্যধিক ব্যস্ত থাকার ওজর ::
এক ব্যক্তি কিয়ামতে বলবেন, হে আল্লাহ, পরিবার পরিজনের লালন-পালন এবং তাদের জন্য খাদ্য উপার্জনে সারাক্ষণ ব্যস্ত ছিলাম বিধায় নামায পড়ার সুযোগ হয়নি। তখন হযরত ইয়াকুব আ. কে হাজির করে ঐ বে-নামাযীকে বলবেন, তেমাদের মধ্যে কার সন্তান-সন্ততি বেশী ছিল? সন্তানের বিয়োগ ব্যাথায় তুমি বেশী কষ্ট পেয়েছ, না ইয়াকুব বেশী কষ্ট পেয়েছে? তার পুত্র ইউসুফকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে শেষ পর্যন্ত অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর কোমর বেঁকে গিয়েছিল। বার্ধ্যক্যের কারণে কষ্টে কালযাপন করেছে। কিন্তু এক বারের জন্য ও সে নামায ত্যাগ করে নাই। অতঃপর ফেরেশতাকে বলবেন, যাও, একে জাহান্নামে নিক্ষেপ কর।
৪. স্বামীর সংসারে অত্যধিক কাজ কর্মের ওজর
কিয়ামতে আল্লাহর আদালতে একজন বে-নামাযী মহিলাকে নামায না পড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলবে, হে আল্লাহ! আমার স্বামীর সংসারে বহু কাজকর্ম ছিল এবং তার ভয়ে সবসময় অস্থির থেকে সংসারের নানাবিধ কাজে সারাক্ষণ লিপ্ত থাকতাম। একারণে নামায পড়ার কোন সময়ই পাইনি।
আল্লাহ তা’য়ালা তখন ফেরাউনের স্ত্রী বিবি আছিয়া রা. কে হাজির করবেন এবং বে-নামাযী মহিলাটিকে বলবেনঃ দেখ, স্বামীর জুলুম নামাযের পথে বাঁধা হলে আছিয়া কিছুতেই নামায পড়তে পারতনা। কেননা আছিয়ার স্বামী ফেরাউন ছিল তোমার স্বামীর চেয়ে অধিকতর বড় জালিম। আজ তোমার ওজর সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। তুমি অলসতা করেই নামায পড়নাই। অতঃপর ফেরেশতাকে নির্দেশ দিবেন। যাও, একে জাহান্নামে ফেলে দাও। [রুহুল বয়ান, মেরী নামায]

Sunday, August 30, 2015

মৃত্যুর সাথে সাথে-ই আমার নাম হয়ে যাবে "লাশ"


মৃত্যুর সাথে সাথেই আমাদের নাম
হয়ে যায় "লাশ"। আর এটাই হল জীবন,
একবার পড়ে দেখুন,
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন -
লোকে বলবে "লাশের পা টা একটু
সোজা করেন" "লাশকে একটু
বরফে রাখলে ভালো হয়"
"লাশকে কবরে নেয়ার সময়
হয়েছে।
তখন কেউ আর নাম ধরে ডাকবেনা,
ডাকবেনা ভাই, বোন,
বাবা,
মা কিংবা চাচা, মামা, বলবে শুধুই
একটা লাশ।
অনেকে আবার
চেহারাটাও দেখবেনা, রাতে ভয়
পাবে বলে ।
কতইনা কষ্টের হবে সেই সময়টা, যখন
আমার আপন জনেরা-ই
আমাকে, কাঁধে নিয়ে, আমারি ঘর
থেকে আমাকে বের
করে, বাড়ির
পাশে, অন্ধকার একটা জায়গার
দিকে নিয়ে যাবে। যেই
জায়গার পাশ
দিয়ে ,হয়ত আমি, হাজারো বার ,বন্ধু
নিয়ে, হাসতে হাসতে, পথ
চলেছিলাম। কতইনা অসহায় হব,
আমি সেইদিন, দেখব, শুনব,
কিন্তু কিছুই বলার বা করার
থাকবেনা । ইয়া আল্লাহ,
আমরা স্বীকার করছি,
আমরা অনেক গুনাহগার, এই
জীবনে, বুঝে না বুঝে, অনেক অপরাধ
করেছি, কিন্তু
তুমিতো দয়াবান,
আল্লাহ
আমরা সকল পাপ থেকে, তোমার
দরবারে তওবা করছি,
তুমি আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও।
আমীন॥


বিষণ্ণতা থেকে মুক্তির সহজ উপায় .....!!!!!

আচ্ছা, দিনে কতবার আপনি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, ' আমি পারছি না' , ' আমাকে দিয়ে আসলে কিছু হবে না!' ? আপনার শতভাগ উজাড় করে দেয়ার পরও কি কিছুই হচ্ছে না? চাকরির ইন্টারভিউটা কি খুব খারাপ হয়ে গেলো? সারারাত জেগে একটা প্রেজেন্টেশন বানালেন, অথচ মন্তব্য পেলেন যে খুবই বাজে হয়েছে! কিন্তু, এমন হলে তো সেটা নিয়ে অবাক হবার কিছু নেই। আপনার হয়তো ধারণাই নেই যে কত মানুষ এরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন যাচ্ছে! কেউ কেউ লাগাম ধরেই রাখে, আর একটা কিছু করে উতরে যায়। আর কেউ কেউ আশা হারিয়ে হাল ছেড়ে দেয়। বিষণ্ণতার কারণে ক্ষুধা আর ঘুম তো চলে যায়ই, সর্বোপরি স্বাস্থ্যের ওপরই ক্ষতিকর প্রভাবটা পড়ে। বিষণ্ণতা যে কেবল আপনার জীবনকে উপভোগ করার ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয় তা নয়, বরং আপনাকে আত্মহত্যাপ্রবণও করে তুলতে পারে। বিষণ্ণতা থেকে কিভাবে নিজেকে বের করে আনতে পারেন তার কিছু উপায় এখানে জেনে নিতে পারেন।
ঘরের বাইরে বের হন
--------------------
নিজের জন্য একটা ছোট্ট সাহায্য - সেটা হলো যে নিজেকে অন্ধকার ঘরটা থেকে বের করে আনুন। আপনার জন্য বাইরে কি অপেক্ষা করছে তা কি আপনি জানেন? আর কিছু না হোক, রাস্তার ধারের দোকানটায় দাঁড়িয়ে একটা খাবার কিনেই খান না! শপিং করতে যান, কিংবা এমনি এমনি শপিং মল-এ ঘুরুন। একটু ভিন্ন মেকআপ বা পারফিউম লাগিয়ে দেখতে পারেন কেমন লাগে নিজেকে! নতুন জামা, ব্যাগ, এমনকি জুতোটাও পাল্টে দেখুন না! জীবনে যে জিনিসগুলো নিয়ে আপনি প্রচণ্ড কৃতজ্ঞ, সেগুলো নিয়ে একটা জার্নাল লিখতে শুরু করতে পারেন। দেখবেন, আপনা আপনিই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে এটা ভেবে যে আশেপাশের আর অনেকের চাইতে আপনি কত ভাগ্যবান! অনেকদিন নিজের যত্ন নেয়া হয় না? একটু পেডিকিওর, মেনিকিওর কিংবা হট অয়েল মাসাজ চলতেই পারে! নিজেকে দেখতে সুন্দর লাগলে মনও ভালো লাগে। আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে সেটা নিয়ে চিন্তাও কিন্তু আপনাকে বিষণ্ণ করে তুলতে পারে, আর এমন হলে সেটা ঠিক করতে হবে আপনার নিজেকেই। একদিনে ১০,০০০ কদম হাঁটবেন। এরকম একটা চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন নিজের সাথেই। নিজেকে উদ্যত করুন এই বলে যে 'আজ ১০০০০ কদম হাঁটবোই' । যেটুকু রাস্তা হেঁটে যাওয়া যায়, সেটুকুর জন্য রিকশা বা গাড়ি বর্জন করুন। আবার ভাবুন যে আপনার কাউচটা বড় না ৫০০০ টাকা বড় ? সুতরাং, ৫০০০ টাকা পেতে হলে তো সোফায় বসে থাকলে চলবে না, দৌড়ান! এসব সিদ্ধান্ত কিন্তু এক সেকেন্ডেরও ব্যাপার না! কিন্তু দেখবেন, যখনই আপনি প্রথম পদক্ষেপটা নিয়ে নিয়েছেন, আপনার আপনা থেকেই অনেক ভালো লাগতে শুরু করবে।
মনের কথাটা খুলে বলুন
-------------------
মনের মধ্যে কথাগুলো চেপে না রেখে বরং বলে ফেলে হাফ ছাড়ুন! মনের ভেতর কথাগুলো যদি বদ্ধ করে রাখেন, তাহলে তো মন আরও ভার লাগবে। কারো সাথে মন খুলে কথা বলুন, সে হতে পারে আপনার বন্ধু, হতে পারে আপনার আরও ঘনিষ্ঠ কেউ। বিশ্বাস করুন, এতে আপনার অনেক হাল্কা বোধ হবে। মনে হবে যেন ঘাড় থেকে একটা বোঝা নামলো। বিষণ্ণতা লুকানোর কিছু নেই । অনেকেই তাদের বিষণ্ণতা গোপন করে চলে আর সবার সামনে ভাব করে যে সে বেশ ভালো আছে। এটা কিন্তু আরও গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং, বিষণ্ণতার কথা কাউকে না কাউকে খুলে বলুন, কিংবা নিজেই পড়াশোনা করুন কি করা যাতে পারে বিষণ্ণতা কাটাতে। কিংবা, কোনো ডাক্তারের সাথেও কথা বলতে পারেন সঠিক নির্দেশনা পাবার জন্য।
উৎসাহ জাগাতে বই কিংবা মুভি
--------------------------------------
একটা ডিভিডি'র দোকানে গিয়ে কিনে নিতে পারেন পছন্দের মুভিগুলো, কিংবা সেসব মুভি যেগুলো আপনি অনেকদিন ধরেই দেখবেন বলে ভেবেছেন, কিন্তু দেখা হয়নি। আমি বলবো যে মুভি কিনতে যাবার আগে ইন্টারনেটে একটু নিজের মতো গবেষণা করে নিতে পারেন যে কোন কোন মুভি কিনবেন। এমন মুভি কিনুন যেগুলো এই মুহুর্তে আপনার মধ্যে অনুপ্রেরণা জাগাবে। একটা ভালো মুভি দেখলে অনেকসময়ই মন খুব ভালো হয়ে যায়। আপনি চাইলে সিনেমা হলে ( যেমন বসুন্ধরা সিটি সিনেপ্লেক্স) গিয়েও মুভি দেখতে পারেন। একটা পানীয়ের গ্লাস হাতে নিয়ে হলে বসে বড় পর্দায় মুভি দেখার মজা অন্যরকম আর আপনারও সেটা মোটেই খারাপ লাগবে না। অনুপ্রেরণা জাগাবে এমন বই-ও পড়তে পারেন। আমার কথা যদি বলি, হুমায়ুন আহমেদ-এর হিমু সিরিজের যে কোনো বই-ই আমার মন ভালো করার জন্য যথেষ্ট।
একটু ব্যায়াম, একটু হাসি
--------------------------------------
সুস্বাস্থ্য আপনাকে যেমন সতেজ রাখবে, তেমনি হাসি-খুশিও রাখবে। নিয়মিত যোগ ব্যায়াম বা জগিং আপনাকে তরুণ ও নির্মল অনুভব করাবে। আপনি চাইলে সালসাও ( এক ধরণের নাচ) শুরু করতে পারেন! তাতে একই সাথে ব্যায়ামও হবে, বিনোদনও হবে। যদি এগুলোর একটাও আপনার করতে ভালো না লাগে, তাহলে পছন্দের বলিউড মুভির গান ছেড়েই আধা ঘণ্টা নাচুন না! ব্যায়ামের সাথে সাথে আপনার মুখে সুন্দর হাসিটাও থাকা চাই। এতে করে যে কেবল আপনাকে দেখতে ভালো লাগবে তা না, আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কিন্তু বাড়বে! অবাক হচ্ছেন যে হাসির সাথে আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সম্পর্ক কি? বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, হাসি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে! মনে রাখবেন, ভ্রুকুটি করার চেয়ে কিন্তু হাসা অনেক সহজ!
বন্ধু , কি খবর বল!
--------------------------------------
বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর চেয়ে ভালো উপায় আর কিছুই হতে পারে না। আপনি যখন বন্ধুদের সাথে থাকেন, তখনই আপনি নিজেকে সবচেয়ে ভালো চিনবেন। বন্ধুরা হচ্ছে রঙ্গিন বেলুনের মতো! যত যাই ঘটুক না কেন, তাদের সঙ্গ আপনাকে আনন্দ দেবেই! বন্ধুদের কল দিয়ে কথা বলুন। তাদেরকে আপনার বাসায় আসতে বলুন, কিংবা আপনিই তাদের বাসায় চলে যান। বন্ধুদের সাথে যতটুকু সময় কাটানো যায় কাটান। অ্যাডভেঞ্চারাস কোনো সফরে যান, সিনেমা দেখুন, একসাথে রাত কাটান, আপনার কল্পনায় যা যা পাগলামি আসে সব করুন! নীলগিরিতে একটা সফর হলে কেমন হয়? আমি বাজি ধরে বলতে পারি আপনি মোটেই অনুতাপ করবেন না!
সেবা করুন অন্যের
-------------------
কারো আশীর্বাদ পাওয়া অবশ্যই আনন্দের, কিন্তু তার চাইতেও আনন্দের কারো জন্য আশীর্বাদ হওয়া। কাউকে সাহায্য করতে পারার অনুভূতি অবশ্যই ভালো লাগার। আপনি আর গ্রাহক থাকেন না, বরং আপনি নিজেই তখন সমাজকে কিছু দেন। এটা যে কেবল আপনার আত্মবিশ্বাসই বাড়াবে তা নয়, বরং আপনাকে এটাও অনুধাবন করতে সাহায্য করবে যে আপনার মধ্যে এমন কিছু আছে যা অন্য অনেকের মাঝেই নেই।
নতুন প্রতিভার সাধনা
--------------------------------------
নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করুন। যেকোনো সময়ই আপনি নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করতে পারেন। গিটার শিখতে পারেন কিংবা আলোকচিত্রের একটা কোর্স করতে পারেন। ছবি আঁকা বা রান্নার ক্লাসও হতে পারে! নিজেকে ব্যস্ত রাখুন যাতে বিষণ্ণতা ভর করার কোনো সুযোগই না পায়। মনে রাখতে হবে যে কেউ যেন আপনাকে এটা বলার সুযোগ না পায় যে ' তোমাকে দিয়ে হচ্ছে না!’ এমনকি আপনি নিজেও যেন নিজেকে এটা বলার সুযোগ না পান!

এখন ডাক্তার আপনি নিজেই

যে ১০টি ওষুধ সবসময় আপনার বাসায় রাখবেন......
প্যারাসিটামল (Paracetamol)
--------------------------------------
জ্বরের জন্য প্রথমে একটি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। জ্বর বাড়লে (<১০৩F) বা ৩ দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তার দেখান। তবে পেটে ব্যাথা, চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিসের অন্য কোন উপসর্গ দেখলে প্যারাসিটামল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ট্রামাডল (Tramadol)
--------------------------------------
কোন প্রকার ঝুঁকি ছাড়াই ট্রামাডল পেইনকিলার হিসেবে নেয়া যায়; এমনকি অ্যাসমা রোগীরাও এটি নিতে পারবেন।
টাইমোনিয়াম সালফেট (Tiemonium sulphate)
---------------------------------------------------------
যেকোন প্রকার পেটে ব্যাথার ক্ষেত্রে বিশেষ করে পিরিয়ডের প্রথম কয়েক দিনের ব্যাথার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি ওষুধ। (আরও জানতে দেখুন কষ্টকর ঋতুস্রাব ও বাড়িতে বসে কষ্টকর স্রাবের নিরাময়)
এসোমিপ্রাযল/ওমিপ্রাযল (Esomeprazole/Omeprazole)
---------------------------------------------------------
অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন সময় বুক জ্বলা বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয়; বিশেষ করে ভরপেট খাওয়ার পর। এসোমিপ্রাযল/ ওমিপ্রাযল পাকস্থলীতে অ্যাসিড গঠন কমিয়ে বুক জ্বলা কমাতে সাহায্য করে। অনেক সময় গ্যাসের জন্য অনেকটা হার্ট অ্যাটাকের মত বুকে ব্যাথা হয়, এজন্য ৩০ মিনিটের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যোগাযোগ করুন। (আরও জানতে দেখুন হৃদরোগের লক্ষণ এবং বুকে ব্যথা)
অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন (Aluminum hydroxide suspension)
----------------------------------------------------------------------------
বুক জ্বলা এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ২ চামচ করে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন খেতে পারেন। সাস্পেনশন্টি ফ্রিজে রাখতে পারবেন এবং ঠাণ্ডা খেলেই বেশি আরাম পাবেন। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কয়েকবার পাতলা পায়খানা হতে পারে, এতে চিন্তার কিছু নেই।
ওরস্যালাইন(Oral Rehydration Saline)
---------------------------------------------------------
ডায়রিয়ার সময় খুব সহজেই শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। প্রত্যেকবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর স্যালাইন খাওয়া উচিত। শরীরে পানিশূন্যতা হলে নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। অনতিবিলম্বে ডাক্তার দেখান যদি;
আপনার ডায়রিয়ার সাথে জ্বরও হয়
২ দিনের বেশি সময় ডায়রিয়া থাকে
মুখ শুকিয়ে গিয়ে পিপাসা লাগে
খুব কম অথবা একেবারেই পেশাব না হলে
প্রচণ্ড পেটে ব্যাথা হলে
পায়খানার সাথে রক্ত গেলে
আপনার উচ্চ রক্তচাপ (hypertension) থাকলে ওরস্যালাইন খাওয়ার আগে রক্তচাপ মেপে নেয়া ভাল।
ফেক্সোফেনাডিন/রুপাটিডিন (Fexofenadine/Rupatadine)
----------------------------------------------------------------------------
এই অ্যান্টিহিস্টামিনগুলো তুলনামুলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ। যাদের অ্যালারজিক রাইনিটিস (ধুলা, পরাগ, তেলাপোকা ইত্যাদির সংস্পর্শে আসলে হাঁচি হওয়া) আছে তারা রাতে একবার ফেক্সোফেনাডিন বা রুপাটিডিন নিলে হাঁচি ও নাক থেকে পানি পড়ার উপশম হবে।
সিল্ভার সালফাডিয়াযিন (Silver sulfadiazine)
---------------------------------------------------------
হালকা পুড়ে গেলে প্রথমে পোড়া জায়গাটি কলের পানির নিচে ধরুন। পানি শুকিয়ে গেলে যত্ন সহকারে পোড়া জায়গায় সিলভার সালফাডিয়াযিন অয়ন্টমেন্ট দিন। ফোসকা পড়লে সেটা উঠানোর চেষ্টা করবেন না। তবে বেশি পুড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করুন।
পভিডন-আয়োডিন মলম (Povidone-iodine ointment)
---------------------------------------------------------
হালকা রক্তপাত সহ ছোটখাটো কাটা-ছেড়ার ক্ষেত্রে ক্ষতটি শুকনা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখুন। রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেলে কাটা জায়গায় পভিডন-আয়োডিন অয়ন্টমেন্ট দিন। এসবক্ষেত্রে স্যাভলন দিয়ে পরিষ্কার না করাই ভাল। আপনি যদি কোন প্রকার ব্লাড থিনার (যেসব ওষুধের কারণে রক্ত জমাট বাধার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়) নিয়ে থাকেন অথবা অনেক বেশি কেটে গেলে বা প্রচুর রক্তপাত হলে আপনার ডাক্তারের সাহায্য লাগতে পারে।
অ্যাসপিরিন (Aspirin)
--------------------
আকস্মিক বুকে ব্যথা এবং পরবর্তীতে বাম হাত, চোয়াল বা গলার বাম দিকে ব্যথা হওয়া হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের যেকোন লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে ২/৩ টি বেবি অ্যাসপিরিন খেয়ে নিন এবং যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
উল্লিখিত কোন ওষুধে আপনার অ্যালারজি থাকলে সেটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এবং গর্ভাবস্থার সময় অনেক ওষুধই খাওয়া যায় না, এ বিষয়ে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

বেকারদের চাকরি সমস্যা সমাধান

আপনি কেন চাকরি পাচ্ছেন না ...।
চাকরি বর্তমানে পরিণত হয়েছে দুর্লভ বস্তুতে। এমন একটি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যেন মরুভ‚মিতে দাঁড়িয়ে পানি খুঁজছেন। আমাদের দেশে নিয়মিত নতুন নতুন বেকার যোগ হচ্ছে এই সোনার হরিণ খোঁজার তালিকায়। অনেকেই ভাবে চাকরি পাওয়াটা নাকি ভাগ্যের ব্যাপার। এটা একেবাই সঠিক নয়। আসলে এই ব্যাপারে যেই বিষয়টি প্রথমে আসে তা হলো প্রতিযোগিতা। পদের সংখ্যা অনুযায়ী আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। যেহেতু সীমিতসংখ্যক পদ তাই প্রতিযোগিতাও বেশি। ভাগ্যের দোষ দেওয়াটা সম্পূর্ণ ভুল। নিজিকে আগে প্রশ্ন করা উচিত যে আপনি কেন চাকরি পাচ্ছেন না? নিজেকে এই প্রশ্ন করে দেখেন নিশ্চয় উত্তর পেয়ে যাবেন।
বর্তমানে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কী দেখে সেটা বিবেচনা করতে হবে আর সেই অনুপাতে আপনি কতটুকু যোগ্য তা যাচাই করতে হবে।
✎ অনেক সময় দেখা যায় যে এমন একজন ব্যাক্তি চাকরি পেয়েছে যার রেজাল্ট আপনার থেকে খারাপ। এতে আপনার মনে অনেক প্রশ্ন আসতে পারে। তবে আমি বলতে পারি যদি কোনো অনিয়ম না হয় তাহলে হয়ত সেই ব্যক্তির মধ্যে নিশ্চয় এমন কিছু গুণ ছিল যা চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছে। এখানে কিছু বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হলো যা আপনার বেকার জীবন থেকে বের হওয়ার পথ তৈরিতে সহায়তা করবে-
★ চাকরি দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রথমে চায় স্মার্টনেস। তবে এই স্মার্টনেস শুধু আপনার পোশাক আশাকে নয় বরং আপনার সব দিক বিবেচনা করবে।
➫ এই ক্ষেত্রে হতে পারে আপনার কথা বলার ভঙ্গি,
➫আপনি কতটুকু জানেন,
➫কতটুকু চাপ নিতে পারবেন।
➫অনেক সময় দেখা যায় আপনি সব জানেন কিন্তু তাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারেননি তাই আপনি বাদ যেতেই পারেন।
➫তাই নিজেকে স্মার্ট করে গড়ে তুলুন সব দিক থেকে।
➫আর এর জন্য আপনাকে পড়াশুনা করতে হবে।
★ আপনি ইংরাজিতে কতটুকু দক্ষ তা চাকরি দাতা লক্ষ করে। তাই এই ক্ষেত্রে আপনি যদি ইংরেজিতে দুর্বল হয়ে থাকেন তাহলে সেই দিকটা নিয়ে আপনি কাজ করুন, সময় দিন। আপনি কখনোই এইটা ভাবনেনা যে আপনাকে দিয়ে হবে না। এইটা ভাবুন কেন হবে না। আমিও করে দেখাতে পারব। সুতরাং ইংরেজির প্রতি দৃষ্টি বাড়ান।
★ আপনি যখন ইন্টারভিউতে যাবেন তখন সবচেয়ে বেশি নজর দেবেন কীভাবে নিজেকে তথ্যভিত্তিক করে উপস্থাপন করা যায়। কেননা আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে আপনার তথ্য।
তাই এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া খুব জরুরি। হোক সেটা লিখিত বা ভাইভা পরীক্ষা। মনে রাখবেন- আপনার তথ্যজ্ঞানই পরিমাপ করবে আপনি কতটা বড় মাপের অফিসার হিসেবে যোগ দিতে যাচ্ছেন ভবিষ্যৎ কাজের জায়গায়। তাই মনে রাখতে হবে নিজেকে তথ্যভিত্তিক করে প্রতিষ্ঠা করা কিন্তু খুব সহজ কাজ নয়; এজন্য প্রচুর সময় দিতে হবে; লেগে থাকতে হবে। দরকার হবে সবসময় আপনার চোখ-কান খোলা রাখা।
★ বেসরকারি চাকরি খুঁজতে গেলে যোগাযোগ দক্ষতার বিকল্প নেই। সরকারি চাকরিতেও যে প্রয়োজন নেই তা কিন্তু বলছি না। তবে সরকারি চাকরিতে যেহেতু সব সময় এক্কেবারে শুরুর ধাপ থেকে নিয়োগ হয় তাই সরকারি চাকরিতে এমসিকিউ, রিটেন, ভাইভা বা সংশ্লিষ্ট ধাপের পরীক্ষাই মূলত চাকরি পাওয়ার একমাত্র হাতিয়ার। তারপরও কিন্তু ভাইভায় দেখা হয় আপনার কমিউনিকেশন্সও যোগাযোগ দক্ষতা।
★ তবে আপনি যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি খুঁজতে বা পেতে চান; আর সেটি যদি হয় মিড বা হায়ার লেভেলের; তাহলে তো কথাই নেই। কেননা বিশেষ করে বড় মানের প্রতিষ্ঠানগুলো সিনিয়র পজিশনের নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি খুব একটা দেয় না। ওই প্রতিষ্ঠানই খুঁজবে তাদের কোন বয়সের বা অভিজ্ঞতার লোক দরকার। তাই নিজের কাজের গণ্ডিতে অন্যান্য নামি-দামি প্রতিষ্ঠানে নিজের দক্ষতা জানান দিতে যোগাযোগ স্থাপন করে রাখতে পারেন। হতে পারে সামনের প্রত্যাশীত একটি সিনিয়র পজিশনের জন্য আপনাকে ডেকে বসতে পারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মানবস¤পদ অফিসার।
★ ডিজিটাল বাংলাদেশের এই যুগে এখন সব কিছুই ডিজিটাল। তাই এইক্ষেত্রে বলতে চাই কম্পিউটার পরিচালনায় আপনি কতটুকু দক্ষ তা যাচাই করুন। অফিস পরিচালনার জন্য যেই সব কাজ শিখা দরকার তা শিখে নিন। দরকার হলে কিছু কোর্স করুন। নেতৃত্ব, হ্যাঁ এই গুণটি আপনার ভিতর কেমন আছে তা বের করুন। একটি টিম পরিচালনায় আপনি কতটুকু সফল তা যাচাই করুন। নিজেকে গড়ে তুলুন একজন নেতৃত্বদানকারী ব্যাক্তি হিসাবে।
★ ★ ভাইভা বোর্ডে অবশ্যই নিজের ভালো দিকগুলো তুলে ধরুন। যতটুকু পারেন নিজেকে মেলে ধরুন। যেই প্রতিষ্ঠানে ভাইভা দিবেন তা সম্বন্ধে ভালোভাবে জেনে নিন। আপনার সিভিতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার রেফারেন্স দেওয়ার চেষ্টা করুন।
সর্বোপরি আপনাকে ডেডিকেটেড হতে হবে। এই প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে চাকরি পেতে হলে অবশ্যই মনযোগ দিতে হবে। বসে থেকে থেকে শুধু বলবেন চাকরি পাই না, চাকরি হয় না এই সব চলবে না। সময় নষ্ট না করে পরিশ্রম করুন। একবার ব্যর্থ হয়েছেন তো কি হয়েছে আবার চেষ্টা করুন, ব্যর্থতাকে কাজে লাগান; স্টাডি করুন আগের বার কেন ব্যর্থ হয়েছেন তা বের করে সেই গ্যাপগুলো পূরণ করুন। তবেই সাফল্য ধরা দেবে।

অভিনন্দন বার্তা

এই ব্লগের পক্ষ থেকে সবাইকে  জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।