Monday, March 25, 2019

ওয়ালটনের নতুন স্মার্টফোন Primo H8

3GB RAM, 5.45" HD+ IPS Display, 8MP Selfie & Sony sensor enabled back camera, 3200mAh Li-polymer Battery, and many more at only 6,999 BDT.
New WALTON Primo H8 will be the best Smartphone in the best price for you.

Exciting Flash Sale will live on Independence Day 26th March 2019 at 11 AM only for eplaza.waltonbd.com

Handset Attractions-
4G Network Support
5.45-inch HD+ IPS 18:9 Full-View Display, 2.5D Glass
Android 8.1 Oreo
Quad-Core Processor
3GB DDR3 RAM; 16GB ROM (EMCP High-speed storage), Separate SD Card up to 64GB
8MP Auto Focus Rear Sony Camera with LED Flash
8 MP OmniVision Selfie Camera
Face Unlock
Fingerprint Scanner
3200mAh Li-Polymer Battery and many more.

🆕Handset Details- https://bit.ly/2Yd3ZMW

Monday, February 26, 2018

আইসিটি বিষয়ক শহর গড়ে তুলতে হবে: সফট্এক্সপোতে অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও আইসিটি নিয়ে কাজ করার জন্য একটি বিশেষ শহর গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। অর্থমন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বেসিস আয়োজিত চার দিনব্যাপি সফটএক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। ‘ডিজাইনিং দ্য ফিউচার’-এই স্লোগান নিয়ে শুরু হওয় সফটএক্সপো’ আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
বেসিস সফটএক্সপোর আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এ এম এ মুহিত বলেন, বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তিখাতের অগ্রগতির সাক্ষ্য বহন করছে বেসিস সফটএক্সপো। এই সফটএক্সপোর মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যে আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে সক্ষম সেটা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ভাষার মাসে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির অন্যতম মাইলফলক বেসিস সফটএক্সপো ২০১৮। এবারের আয়োজন, পরিসরে যেমন বড়, তেমনি বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির পরিচয়ও বহন করছে।

হলোগ্রাফিক রোবট মায়ার সাহায্যে সফটএক্সপোর উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী। বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর ও বেসিসের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এবারের এক্সপোতে ১৮০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের স্টল স্থান পেয়েছে।

Friday, January 27, 2017

Friday, September 11, 2015

১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পুনঃনিবন্ধন না করলে সিম বন্ধ !

নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত সব সিমকার্ড পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে। তাও আবার আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে না করলে তা বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

মঙ্গলবার সকালে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে চিঠিও দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

বিটিআরসিকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সিম পুনঃনিবন্ধনের বিষয়টি ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে গ্রাহককে জানাতে হবে। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তা নিবন্ধন করতে হবে। নতুবা তা বন্ধ করে দেয়া হবে। পত্রিকাতেও এ ধরনের বিজ্ঞাপন ছাপাতে বলা হয়েছে।

ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেলারদের প্রকৃত সংখ্যা ও বৈধ কাগজপত্র সনাক্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। তা সংরক্ষণ করতে হবে।

এছাড়া তামাকজাত পণ্যের সংবিধিবন্ধ সতর্কীকরণের মতো মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্ধারিত বিজ্ঞাপন ও বিলবোর্ডের নিচে সর্তকীকরণ বার্তা প্রচার করতে হবে। বার্তায় উল্লেখ করতে হবে, ‘অবৈধ ও অনিবন্ধিত সিম ব্যবহার দেশের ও আপনার জন্য বিপদজনক, এখনই সিম বৈধভাবে নিবন্ধন করুন।’ ৭ দিনের মধ্যে এ নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। গ্রাহককে বিনামূল্যে কোনো সিম দেয়া যাবে না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে গতবছরই মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো অনিবন্ধিত সব সিম বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, ‘দেশে হয়রানি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং জঙ্গিবাদ এড়াতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

Thursday, September 3, 2015

পড়া মনে রাখার কৌশল

কেন পড়া মনে থাকে না ও কিভাবে পড়া মনে রাখবেন......
পাঠ্যবইয়ে পড়া অধীত বস্তগুলি যে আমরা মনে রাখতে পারি না তার প্রধান কারণ:
এগুলো পড়ে পরীক্ষা পাস ছাড়া জীবনে আর কোনো কাজে লাগবে কিনা সে সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা নেই। তাই মনে করি কোনো রকমে পরীক্ষায় পাশটা করে গেলে যথেষ্ট। সারাজীবন ধরে এটা মনে রাখার দরকার নেই। আসলে সবাই ভাবে লেখাপড়া, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়েই শেষ হয়ে যায়। ডিগ্রির জন্যই পড়াশোনা। ডিগ্রি পেয়ে গেলে ওটারই দাম, পড়াশোনার আর দাম নেই। এই কারণে কলেজের পাঠ্যবই-এর পড়া লোকে পরবর্তীকালে ভুলে যায়। কারণ ভুলে যেতে চায় বলেই ভুলে যায়।
যাই হোক মূল আলোচনায় আসি "কিভাবে পড়া মনে রাখবেন......"
মনে রাখার জন্য আমার লাইফ থেকে শিক্ষা নেওয়া টিপসঃ এই টিপস গুলো আমি আমার প্রতিটি স্টুডেন্টকে দিতাম ... এবং তারা সফলও হত
-------------------------------------------------------------
✪ আপনার পড়ার রুমে অবশ্যই একটা হোয়াইট বা সাদা বোর্ড রাখবেন
সেখানে প্রতিদিন ইম্পরট্যান্ট কিছু পয়েন্ট বা সূত্র লিখে রাখবেন যা মনে রাখা খুব প্রয়োজন ...
✪ প্রতিটি পারার টপিক্স এর ফ্লো চার্ট তৈরি করুন এবং বড় পেইজে করুন মানে এক পেইজে যাতে পুরা বিষয় নিয়ে আসা যায় ...ফ্লো চার্টের প্রতিটি পয়েন্টের পাশে এমন একটা দুইটা ওয়ার্ড লিখে রাখুন যাতে পুরা বিষয় আপনি ব্যাখ্যা করতে বা মনে করতে পারেন ...
✪ অনেকে মনে রাখার জন্য নোট করেন সেইটা অবশ্যই ভালো কিন্তু তারা এমন ভাবে করেন যেন এইটা ছাপা হবে বা আরেকজন পড়বে ...
আমি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পদার্থ বিজ্ঞান ও অন্যান্য সাবজেক্ট দুই তিনটা বই নিয়ে এভাবে নোট করেছিলাম এতে একটা লাভ হয়েছে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা হয়েছে এবং ভালো বুঝতে পেরেছি এমন ভাবে বুঝেছি যে অন্য যে কাউকে বুঝানোর ক্ষমতা হয়েছিল ...
কিন্তু সমস্যা হল পরীক্ষার আগে আমি প্রতিটি প্রশ্ন অর্ধেক লিখে আর মনে করতে পারছি না ... যা হবার তাই হল ফাস্ট ইয়ার রেজাল্ট অতো ভালো হল না
কারন আমি বুঝেছি ঠিকই কিন্তু দেখলে পারব মনে হত কিন্তু মুখস্ত না লেখার কারনে
আমার দুর্বল পয়েন্ট আমি ধরতে পারি নাই ...
সো যাই পডেন নাকেন একবার হলেও লিখবেন না দেখে এতে আপনার মাথা কাজ করবে এবং মনেও থাকবে ...এর ফলে আপনি শিখার পর লিখতে গেলে দেখবেন একটা পয়েন্টে এসে আন্টকে গেছেন কিন্তু বাকি লাইন গুলো মনে আছে
বিশেষ করে সাইন্সের সাবজেক্টে এমন হয় ... ✪ একটা কথা মনে রাখবেন যে লাইনে আপনি বাঁধা পরেছেন সেইটাই হলো ক্রাকিং লাইন ...
✪ এই জন্য প্রতিটি প্রশ্ন ও ম্যাথে মুখস্ত লিখে লিখে এভাবে ক্রাক লাইন খুজে বের করবেন এবং আপনার নোট হবে সেই লাইন গুলো নোট করবেন
✪ আমি প্রথম ধাক্কার পর এভাবেই নোট করা শুরু করলাম মানে এক পেইজেই সম্পূর্ণ প্রশ্ন তুলে আনতাম পরীক্ষার আগে এইটাই পরতাম যা আমি ছাড়া আর কারো বুঝা সম্ভব ছিল না ...
এভাবে সময়ও বাচলো আমার মনেও থাকল আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনারা নিজেও একবার ট্রায় করে দেখুন
মানে এক পেইজে সম্পূর্ণ প্রশ্ন এইটা করতে গেলে দেখবেন আপনাকে ইম্পরট্যান্ট পয়েন্ট খুজতে হবে যার ফলে টপিক্সটি খুভ ভালো করে পরা হবে
এবং চিন্তা করতে হবে কোন পয়েন্ট লিখলে সম্পূর্ণ প্যারা মনে থাকবে ...
এভাবে আপনি নিজেই মনে রাখার একটা টেকনিক বের করতে পারবেন
স্বাভবিক টিপস (মানে উপরের টিপস গুলো যাদের পছন্দ হয় নি তাদের জন্য এই টিপস গুলো )
পড়তে হয় বার বার
—————————
রিপিটেশন বা বার-বার পড়া মনে রাখার প্রকৃষ্ট পদ্ধতি। ছাত্র-ছাত্রীদের বলি যা পড়বার প্রথম তিনমাসই একবারে শেষ করে ফেলুন। পরের ন মাস ধরে চলুক রিপিটেশন। এমন কোন ওষুধ নেই একবার খেলেই রোগ উপশম হয়। মনে রাখতে গেলে বার বার সেটা পড়তে হয়। বিজ্ঞাপনের ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা শেখাই Repetition and domination. একটা বিজ্ঞাপন বার-বার repeat করো। আরও বড় করে বিজ্ঞাপন দাও।
বাস্তব জগতে কোনো ক্রিয়া রিপিটেশন ছাড়া হয় না। না কাঁদলে মা শিশুকে স্তন্য দান করে না। কিন্তু শিশুর একবার কাঁদলেই চলে না। প্রতিবার কাঁদতে হয়। তেমনি কারো বার বার ঘ্যান ঘ্যান করতে হয়। এই জন্যই একটা বিজ্ঞাপন বার বার দিতে হয়। নাটকে রিহার্সালও দিতে হয় বার বার। তেমনি একটা সাবজেক্ট বুঝতে গেলে বা জানতে গেলে বার বার করে পড়তে হয়। একে বলে অনুশীলন টাইপ, কম্পিউটার, সাঁতার শেখার লেসন একটাই : ‘বার বার করো’।www.facebook.com/tanbir.cox
কিন্তু বার বার পড়লেই হবে না। এমন কি বার বার পড়লে মুখস্থ হয়তে হয়েতে হয়ে যাবে, কিন্তু বেশিদিন তা মনে রাখা যাবে না । বেশিদিন মনে রাখতে গেলে জিনিসটি বুঝে মুখস্থ করতে হবে। সেই সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে তোতাপাখির মতো না বুঝে মুখস্থ করাকে rote learning বলে। এইরকম মুখস্ত কাম্য নয়। মুখস্ত করার আগে সমস্ত শব্দের অর্থ জানতে হবে ও ভাবার্থ জানতে হবে। এজন্য বলি পড়ে বোঝা ও বুঝে পড়া। মনোযোগ অর্জন করার কতগুলি শর্ত আছে। মনকে ধ্যান ও যোগের দ্বারা ক্রমশ একমুখী করে তুলতে হয়।
একটু নির্জনতার সন্ধানে
—————————
পড়ার জন্য একটি নির্জন ঘর বেছে নেওয়া বাঞ্জনীয়। পড়ার ঘরে অনেক ফিল্মি হিরো, হিরোইন বা ক্রিকেট ছবি রাখে। এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই সব ছবি মনের একাগ্রতা নষ্ট করে। পড়ার ঘরে বরং আপনার নিজের ছবি বড় করে বাঁধিয়ে রেখে দিন। প্রতিদিন পড়া শুরুর আগে ছবির দিকে তাকিয়ে বলুন, আমাকে সমস্ত বিঘ্ন অতিক্রম করতে হবে। আমাকে মনোযোগী হতে হবে। আমাকে বড় হতে হবে। আমাকে পরীক্ষায় সফল হতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আর আমাকে সকল বাঁধা অতিক্রম করতে গেলে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এখানে ফাঁকির কোনো স্থান নেই। এবার আর একটা কাগজে লিখুন-পড়াশোনা আমার দ্বারা হবে না। আমি বেকার থাকব। চেষ্টা না করে খাব দাবো আর ফুর্তি করে বেড়াব। তারপর কাগজটি টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে জানালা দিয়ে ফেলে দিন।
পরীক্ষার আগে পড়া
————————— www.facebook.com/tanbir.cox
আমাদের ক্লাসে ফাস্ট বয় সারাদিন আড্ডা দিয়ে সারারাত ধরে পড়ত। শুনেছি ভালো ছেলেরা নাকি তাই করে। আমাদের দেশের বাড়ি পাশের বাড়ির একটি স্কুলের ছেলে চার-পাঁচ ঘন্টা চেঁচিয়ে পড়ত। কিন্তু সে ক্লাসে ফেল করত। কতক্ষণ পড়ব, কখন পড়ব, এব্যাপারে কোনো ফর্মূলা দেওয়া যাবে না। খাদ্যের ব্যাপারে যেমন আমরা বলতে পারি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে ১৬ আউন্স খাদ্য বা ২৫০০ ক্যাসরি খাদ্য লাগে। কিন্তু অনেকে ১২০০ ক্যালরি খেয়েও স্বাস্থ্যবান থাকতে পারে।
পড়ার ব্যাপারেও তাই। আসলে দেখতে হয় যতটুকু পড়ছি মনে রাখতে পারছি কিনা। আজকাল একদিন থেকে এক সপ্তাহ কোনো বিষয়ের ওপর টানা ওয়ার্কশপ চলে। তাতে সারাজীবনে যা শেখেননি তা নাকি ক্যাপসুল করে একদিনে টানা ঘন্টায় শিখিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু J.C. Jenkins ও Dallenbach দেখিয়েছেন দু’দল বাচ্চাকে ননসেন্স ছাড়া শেখানো হল। আর একদলকে না ঘুমাতে দিয়ে টানা শিখিয়ে যাওয়া হল।www.facebook.com/tanbir.cox
দেখা গেল যাদের ঘুমোতে দেওয়া হয়েছিল তাদের স্মতিধারণ ক্ষমতা অবিরাম শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো হয়েছে। অনেকে টানা অনেক্ষণ পড়তে পারে ও মনেও রাখতে পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, এক ঘন্টা একনাগাড়ে পড়ার পর দশ মিনিট বিশ্রাম দরকার। এই বিশ্রামের সময় কিন্তু টিভি দেখতে যাবেন না। তাহলে যা পড়েছেন সেটা ইরেজ হয়ে যাবে মন থেকে। যেমন টেপ রেকর্ডারে প্রিরেকর্ডেড টেপের ওপর রেকর্ড করলে আগেরটা ইরেজ হয়ে যায়। তার চেয়ে শবাসনে শুয়ে থাকুন। অথবা একটু আড্ডা দিয়ে আসুন। একটু হেঁটে নিন। তারপর আবার শুরু করুন। দিন-রাত একটানা পড়লে স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে। হজম হয় না। রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। অনেকে ঘুম তাড়াবার জন্য ওষুধ খায়, চা, কফি খায়। এর ফলে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে।

Monday, August 31, 2015

নামায পরিত্যাগ করার পরিণাম ও শাস্তি



কুরআন ও হাদীসে নামায আদায়কারীর প্রতিদানের কথা যেমন বর্ণনা করা হয়েছে; তার সাথে সাথে নামায তরক কারীর ভয়াবহ পরিণাম ও শাস্তির কথাও বর্ণনা করা হয়েছে। যদি ও এ প্রসংগে একটি বানী-ই যথেষ্ট ছিল। তাসত্বেও মহান আল্লাহ এবং তাঁর প্রিয় হাবীব আমাদের প্রতি দয়া পরবশ হয়ে নামায পরিত্যাগ করার শাস্তি ও ইহার ভয়াবহ পরিণতির প্রতি বারবার আমাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। এবং নানা ভাবে আমাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন। যাতে লোকেরা তওবা করে সঠিক নামাযী হয়ে যেতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ নিম্নে মাত্র কয়েকটি কুরআনের বাণী ও হাদীস উল্লেখ করা গেল।
বে-নামাযীর শাস্তি ও পরিণাম সংক্রান্ত আল-কুরআনের বাণী :
১. বিবাদ ও পতনের মূল কারণ নামায ত্যাগ করা
ইরশাদ হচ্ছে,
فخلف من بعدهم خلف اضاعوا الصلوة و اتبعوا الشهوات فسوف يلقون غيا- الا من تاب و امن وعمل صالحا
“তাদের পরে যারা তাদের স্থলাভিষিক্ত হল, তারা নামায নষ্ট করল এবং নফসের লালসা-বাসনার অনুসরন করল। সুতরাং তারা অচিরেই এই কুকর্মের শাস্তি ভোগ করবে। অবশ্য তারা ব্যতীত যারা তওবা করেছে, ঈমান এনেছে ও সৎকর্মশীল হয়েছে”। [ সূরা মারয়াম-৫৯]
২. বে-নামাযী ‘সাকার’ নামক জাহান্নামে প্রবেশ করবে ::
ইরশাদ হচ্ছে,
كل نفس بما كسبت رهينة الا اصحب اليمين- في جنت يتساءلون عن المجرمين- ماسلككم في سقر- قالوا لم نك من المصلين ولم نك نطعم المسكين وكنا نخوض مع الخائضين وكنا نكذب بيوم الدين- حتي اتنا اليقين فما تنفعهم شفاعة الشافعين-
“প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের দায়ে আবদ্ধ, তবে ডানপন্থীগণ (জান্নাতীগণ) ব্যতীত। তারা থাকবে জান্নাতের বাগানে এবং তারা অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে কোন জিনিস তোমাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে এল? তারা বলবে আমরা মুসল্লীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম না, আমরা মিসকিনদেরকে খাবার দিতাম না, আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করে বেড়াতাম এবং আমরা কর্মফল দিবসকে অস্বীকার করতাম। শেষ পর্যন্ত আমাদের নিকট নিশ্চিত মৃত্যুর আগমন ঘটল। এমতাবস্থায় সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন উপকারে আসবে না”। [ সূরা আল মুদ্দাচ্ছির-৩৮-৪৮]
৩. যথাযথভাবে যারা নামায আদায় করেনা তাদের শাস্তি ::
ইরশাদ হচ্ছে,
فويل للمصلين الذين هم عن صلاتهم ساهون
“সুতরাং দুর্ভোগ/ওয়াইল নামক দোযখের কঠিন শাস্তি সেই নামায আদায়কারীদের জন্য যারা তাদের নামায সম্পর্কে উদাসীন”। [ সূরা মাউন-৪-৫]
৪. হাশরের ময়দানে বেনামাযী মারাত্মক অপমানিত হবে ঃ
ইরশাদ হচ্ছে,
يوم يكشف عن ساق و يدعون الي السجود فلا يستطيعون خا شعة ابصارهم ترهقهم ذلة وقد كانوا يدعون الي السجود وهم سلمون-
“স্মরণ কর সেই চরম সংকটময় কিয়ামত দিবসের কথা যেই দিন তাদেরকে আহবান করা হবে সিজদা করার জন্য কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবেনা। তাদের দৃষ্টি অবনত, হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল, তখন তো তাদেরকে আহবান করা হয়েছিল সিজদা করতে। (কিন্তু তারা সিজদা করেনি)। [ সূরা আল ক্বালাম-৪২-৪৩]
আল্লাহ তা’আলার সর্তকতা। কি মারাত্মক অপমান ও যিল্লাতী হবে বে-নামাযীর। হাশরের ময়দানে হযরত আদম আ. থেকে শুরু করে দুনিয়ার শেষ মানুষটি পর্যন্ত একত্রিত হবে। কোন প্রকার পর্দা বা অন্তরাল থাকবেনা। এমনি সময়ে বে-নামাযীরা তাদের দয়াবান আল্লাহকে সিজ্দা করতে সক্ষম হবেনা।
বে-নামাযীর ভয়াবহ পরিণাম সংক্রান্ত আল হাদীসের বাণী ঃ
১. নামায তরক করা কুফরী কাজ
রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন,
من ترك الصلوة متعمدا فقد كفر
যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে নামায ছেড়ে দেয় (ঐ ক্ষেত্রে কার্যত) সে কাফির হয়। [ মিশকাত]
২. বে-নামাযীর মুসলমানিত্ব থাকে না ঃ
রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন ঃ
لاتتركوا الصلواة متعمدين فمن تركها متعمدا فقد خرج عن الملة
“তোমরা ইচ্ছা করে কোন নামায ছেড়ে দিওনা। কেননা, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে নামায ছেড়ে দিবে, সে মিল্লাতে ইসলামের বহির্ভূত হয়ে যাবে”। [ তাবরানী]
৩. বে-নামাযীর অপূরণীয় ক্ষতি ঃ
নবী করীম সা. বলেছেন,
من فا تته صلواة فكا نما وتر اهله وما له
“যার এক ওয়াক্ত নামাযও ছুটে যায়, তার অবস্থা এমন যেন তার সকল পরিবার পরিজন ও ধন সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া হল”। [ ”ইবনে হাববান, দুররে মানছুর]
৪. বে-নামাযীর থেকে আল্লাহর দায়িত্ব উঠিয়ে নেয়া হয় ঃ
রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন,
لاتتركن صلواة مكتوبة متعمدا فان من ترك صلواة مكتوبة متعمدا فقدبرءت منه ذمة الله-
“স্বেচ্ছায় কখনো ফরয নামায ছেড়ে দিওনা। কেননা, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ফরয নামায ছেড়ে দেয়, তার উপর হতে আল্লাহর জিম্মা (দায়িত্ব) উঠে যায়”। [ ”আহমদ, তাবরানীপ]
৫. বে-নামাযী সীমাহীন কালের জন্য জাহান্নামে থাকবে ঃ
নবী করীম সা. বলেন,
من ترك الصلواة حتي مضى وقتها ثم قضي عذب في النار حقبا-¬
“যে ব্যক্তি নামায এমনিভাবে ছেড়ে দেয় যে, উহার ওয়াক্ত চলে যায়। অতঃপর ক্বাজা আদায় করে দেয়। তবুও যথাসময়ে না পড়ার দরূন এক ‘হোকবা’ পর্যন্ত জাহান্নামের আগুনে তাকে শাস্তি দেয়া হবে।”
(প্রতি ‘হোকবার’ পরিমাণ দুই কোটি অষ্টাশি লক্ষ বৎসর)। [ মাজালিসুল আবরার]
৬. বে-নামাযীর শাস্তি প্রসংগে হুজুরের সা. স্বপ্ন ঃ
একবার ফজরের নামাযের পর নবী করীম সা. একটি স্বপ্নের কথা এভাবে বর্ণনা করেনঃ দুইজন লোক এসে আমাকে তাদের সংগে কোথাও নিয়ে গেলেন। এরপর আমি স্বপ্নে বেহেশত দোযখ দেখলাম এবং দোযখে বিভিন্ন ধরনের আযাব হওয়ার দৃশ্য দেখলাম।
তার মধ্যে এক ব্যক্তিকে দেখলাম, পাথরের আঘাতে তার মাথা চুর্ণ-বিচুর্ণ করা হচ্ছে। পাথরটি এত জোরে নিক্ষেপ করা হচ্ছে যে, উহা ছিটকে বহুদুরে চলে যায়। পুণরায় পাথরটি তুলে আনা হয় সেই ফাঁকে লোকটির মাথাটি ঠিক হয়ে যায়। এইভাবে পরপর করা হচ্ছে। তখন নবী করীম সা. সংগীদ্বয়কে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তারা বললেন ঃ লোকটি কুরআন শরীফ পড়েছিল, কিন্তু সে উহার তিলাওয়াত ও তদানুযায়ী আমল করা ছেড়ে দিয়েছিল এবং ফজর নামায না পড়েই শুয়ে থাকত। [ বুখারী]
৭. বে-নামাযীর হাশর হবে বড় বড় কাফিরদের সাথে ঃ
নবী করীম সা. ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি যথাযথ ও সঠিকভাবে নামায আদায় করতে থাকবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য হবে নূর (হিসাবের জন্য) হবে অকাট্য দলীল এবং পূর্ণমুক্তি নির্দিষ্ট হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি নামাযের হিফাজত করেনা, তার জন্য নূর, অকাট্য দলীল এবং মুক্তি কিছুই হবেনা। বরং সে কারূন, ফেরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খালফ নামক মুনাফিক কাফেরদের সাথে জাহান্নামে যাবে। [ আহমদ, দারমী, বায়হাকী]
আলোচ্য হাদীসে বে-নামাযীর নিকৃষ্ট পরিণামের কথা বুঝাবার জন্য নবী করিম সা. মানব ইতিহাসের চারজন নিকৃষ্ঠতম ব্যক্তির উল্লেখ করে বলেছেন, বে-নামাযী লোক কিয়ামতের দিন ঐ চার ব্যক্তির সংগী হবে।
চার ব্যক্তির সংগী হবার কারণ ব্যাখা প্রসংগে আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহ. এবং ইমাম ইবনুল কায়্যিম রহ. স্ব স্ব গ্রন্থে লিখেছেন’ হয় সে তার ধন-সম্পদের ব্যাপারে বেশী মশগুল থাকার কারণে নামায সংরক্ষণ করবেনা, অথবা, দেশ শাসনের রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকার দরূন অথবা ওজারতী ও সরকারী বেসরকারী চাকুরী জনিত ব্যস্ততার কারণে কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে ব্যতিব্যস্ততার দরূন।
অতএব, নামায না পড়ার কারণ যদি ধন-সম্পদের ব্যাপারে বেশী মশগুল থাকার দরূন হয় তার পরিনতি হবে কারূনের সাথে। আর রাষ্ট্রীয় কাজের দরূন হলে তার পরিণতি হবে ফেরাউনের সাথে। জাতীয় বা দায়িত্বপূর্ণ চাকুরীর কারণে হলে সে পরকালে হামানের সঙ্গী হবে। আর ব্যবসা বাণিজ্য ও কৃষিকাজের জন্য নামায ত্যাগকারী উবাই ইবনে খালফের সাথে হাশর হবে।
৮. বে-নামাযীর জন্য ১৪ প্রকার শাস্তি নির্ধারিত হয়েছে::
হাদীস শরীফে এসেছেঃ যে ব্যক্তি নামাযের ব্যাপারে অবহেলা প্রদর্শন করে। আল্লাহ তায়া’লা তাকে চৌদ্দ প্রকার শাস্তি প্রদান করেন।
পাঁচ প্রকার শাস্তি দুনিয়াতে -৫
তিন প্রকার মৃত্যুর সময়ে -৩
তিন প্রকার শাস্তি কবরে -৩
তিন প্রকার কিয়ামতের দিন -৩
মোট ১৪ প্রকার শাস্তি
দুনিয়ায় পাঁচ প্রকার শাস্তি:
১. তার জীবন ও জীবিকার বরকত কেড়ে নেয়া হবে।
২. তার চেহারা হতে নেক্কার লোকদের নূর মুছে ফেলা হবে।
৩. সে যেকোন নেক আমল করুক আল্লাহ তায়া’লা তাতে কোন ছওয়াব দান করেন না।
৪. তার কোন দো’য়াই কবুল হয়না।
৫. নেককারদের দো’য়ায় তার কোন অংশ থাকে না। অর্থাৎ উক্ত দো’য়ার বরকত হতে বঞ্চিত থাকে।
মৃত্যু কালিন তিন প্রকার শাস্তি:
১. অপমানিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় তার মৃত্যু হবে।
২. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করবে।
৩. চরম তৃষ্ণার্ত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে। যদি সমস্ত পৃথিবীর সাগরের পানিও তাকে পান করান হয়, তবুও তার তৃষ্ণা নিবৃত্ত হবেনা।
কবরের তিন প্রকার শাস্তি :
১. তার কবর এত সংকীর্ণ করা হবে যে, তার এক পাঁজরের হাড় অন্য পাঁজরের মধ্যে ঢুকে যায়।
২. তার কবরে আগুন জ্বালানো হয়, সে উহার শিখার উপর দিনরাত উলট-পালট অবস্থায় দগ্ধ হতে থাকে।
৩. তার কবরে একটি ভয়ংকর বিষধর অজগর নিয়োগ করা হবে। যার চোখ দু’টি আগুনের এবং নখরগুলি লোহার তৈরী হবে। অজগরটি বজ্রের ন্যায় আওয়াজ দিবে এবং মৃত ব্যক্তিকে চব্বিশ ঘন্টা রাতদিন কিয়ামত পর্যন্ত দংশন করতে থাকবে।
কিয়ামতের তিন প্রকার শাস্তি ঃ
১. অত্যন্ত কড়াকড়ি ভাবে বে নামাযীর হিসাব নেয়া হবে।
২. তার উপর আল্লাহর কহরের শাস্তি হবে।
৩. অত্যন্ত অপমানের সাথে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
অপর এক বর্ণনায় এসেছে:
কিয়ামতের দিন বে-নামাযীর কপালে তিনটি লাইন লিখা অবস্থায় উঠবে।
“হে আল্লাহর হক বিনষ্ট কারী।
হে আল্লাহর গজবের পাত্র।
দুনিয়াতে তুমি যেভাবে আল্লাহর হক নষ্ট করেছ,
সে রূপ আজ তুমি আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত”। [ জাওয়াজেরে ইবনে হাজর মককী, ফাজায়েলে নামায]
৯. বে-নামাযীর স্থান ও তার প্রতি ঘৃণা :
ক. বে-নামাযী জিনাকার এবং বদকার থেকে ও নিকৃষ্ট :
বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের একজন মহিলা একবার হযরত মুসা আ. এর নিকট এসে আরয করলঃ হে মুসা; আমি জিনার মত জঘন্য পাপ করেছি তাতে আমার সন্তান হয়েছিল কিন্তু সন্তানটিকেও আমি মেরে ফেলেছি।
পরে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দরবারে আমি তওবা করেছি। তবে যদি আপনি আমার পক্ষ হতে তওবা কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট দো’য়া করতেন অবশ্যই আমার দো’য়া কবুল হত। হযরত মুসা আ. রাগান্বিত হয়ে বললেন, দূর হও এখান থেকে। তোমার পাপে আমরাও কি ধ্বংস হব? অতঃপর মহিলাটি ভয়ে সেখান থেকে চলে গেল।
অতঃপর হযরত জিবরাইল আ. হযরত মুসার নিকট অহী নিয়ে এসে বললেন, হে মুসা! ঐ জিনাকার মহিলাটির চেয়ে আর কোন বড় পাপী কেউ আছে কি? হযরত মুসা আ. বললেন উহা অপেক্ষা বড় পাপী কে হতে পারে? তখন আল্লাহর পক্ষ হতে ইরশাদ হলো হে মুসা! আপনার ধারণা ঠিক নয়। যে ব্যক্তি জেনে শুনে ইচ্ছা করে নামায পড়ে না, সে ঐ জেনাকারিনী ও অন্যায় ভাবে আপন সন্তান হত্যাকারিনী মহিলার চেয়েও অধম ও নিকৃষ্ট। [ মেরী নামায]
খ. নামাযে অবহেলাকারী ব্যক্তি শয়তানের ন্যায় অভিশপ্ত ঃ
বর্ণিত আছে আগেকার যুগে শয়তান মানুষের দৃষ্টি গোছর হত। একবার এক ব্যক্তি তাকে দেখে বলল, হে শয়তান! তুমি আমাকে এমন একটি পথ বাতলিয়ে দাও, যাতে আমিও তোমার মত অভিশপ্ত হতে পারি।
শয়তান বড় আশ্চর্য হয়ে বলল, আজ পর্যন্ত আমার নিকট এরকম দরখাস্ত তো কেউ করেনি। তোমার এমন কোন প্রয়োজন দেখা দিল যে, আমার নিকট এরকম দরখাস্ত করলে? সে ব্যক্তি বলল, ইহা আমার নিছক একটি অভিলাষ মাত্র। আর কিছু নয়। তখন শয়তান বলল, আমার মত হওয়ার পথ একেবারে সহজ, আর তাহলো নামাযে অবহেলা করতে থাক এবং সত্য মিথ্যার পরোয়া না করে কসম খেতে থাক।
লোকটি তখন শপথ নিল, আমি আল্লাহর নিকট ওয়াদা করছি যে, আমি কখনো কোন নামায ত্যাগ করব না এবং এতটুকু অবহেলাও করবনা। এবং কখনো কসম খাবনা। এটা শুনে শয়তান বলল, তুমি ছাড়া আজ আমাকে কেউ ধোকা দিয়ে এভাবে কথা আদায় করতে পারে নাই। তাই আমিও ওয়াদা করছি যে, মানুষকে আর কখনো উপদেশ দিতে যাবনা। [ তামবিহুল গাফেলীন, আবুল লাইস ছমরকন্দী/ ফাজায়েলে নামাজ]
গ. বে-নামাযী মহা ক্ষতিগ্রস্ত, অকৃতজ্ঞ ও মহাপাপী ঃ
আল্লামা সফীরী রহ. বলেন, ফেরেশ্তাগণ
ফজরের নামায পরিত্যাগকারীকে “ইয়া ফাজির (হে দুষকৃতকারী)”,
জোহরের নামায পরিত্যাগকারীকে “ইয়াখাসির” (হে ক্ষতিগ্রস্ত) ,
আসরের নামায পরিত্যাগকারীকে “ইয়া আ’ছী” (হে মহাপাপী)”,
মাগরিবের নামায পরিত্যাগকারীকে “ইয়া কাফির” (হে অকৃতজ্ঞ)” এবং
ই’শার নামায তরককারীকে “ইয়া মুদ্বী’অ” (হে আল্লার হক নষ্টকারী) বলে সম্বোধন করে থাকে।
[ গায়াতুল মাওয়ায়েজ, ফাজায়েলে নামায]
ঘ. নামায পরিত্যাগকারী পাড়া, মহল্লা এলাকার প্রতি বালা মুসীবত নাযিল হয়ঃ
আল্লামা শা’রানী রহ. বলেনঃ যে সকল পাড়া বা এলাকার লোক নামায পড়ে না, সবধরনের বালা মুসীবত সেখানেই নাযিল হয়। এসব এলাকায় ভূমিকম্প, বজ্রপাত, বাড়ীঘর ধ্বসে যাওয়া, ঘুর্ণিঝড়, হ্যারিকেন, সুনামী, টর্নেডোতে আঘাত হানা কোনোটি বিচিত্র নয়। সেখানের কেউ যেন এরূপ ধারণা না করে যে, আমি তো নামাযী আছি, অন্যরা নামায পড়–ক বা না পড়–ক তাতে আমার কি? কেননা, বালা মুসীবত যখন নাযিল হয় তখন ব্যাপক ভাবেই নাযিল হয়।
হাদীস শরীফে এসেছে, একজন সাহাবী নবী করীম সা. এর নিকট আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে নেক্কার লোক বর্তমান থাকা অবস্থায় ও আমরা ধ্বংস হতে পারি? নবী করীম সা. বললেন হ্যাঁ, যখন অন্যায় ও পাপাচার ছড়িয়ে পড়বে। কারণ, নেক্কার লোকদের কর্তব্য হচ্ছে অন্য লোকদেরকে সাধ্যানুযায়ী অন্যায় কাজ হতে বিরত রাখা ও সৎকাজের আদেশ করা। [ফাজায়েলে নামায]
ঙ. বে-নামাযীর শাস্তির ধরন ঃ
হাদীস শরীফে আছে, বে-নামাযীর দু’হাত জিঞ্জির দ্বারা বেঁেধ ফেরেশতাগণ তার মুখমণ্ডল ও পৃষ্ঠ দেশে আঘাত হানতে থাকবে।
অন্য এক হাদীসে আছে, জাহান্নামে ‘লমলম’ নামে একটি উপত্যকা আছে। উটের গ্রীবার ন্যায় মোটা এবং একমাসের পথের ন্যায় দীর্ঘ ভয়ংকর ভয়ংকর সাপ দ্বারা উহা পরিপূর্ণ। সেখানে এরা বে-নামাযীদেরকে দংশন করে শাস্তি দিতে থাকবে।
অপর এক হাদীসে আছে, জাহান্নামে ‘জুব্বুল হুয্ন’ নামে একটি ময়দান আছে। উহা শুধু বিরাট আকারের বিচ্ছু দ্বারা পরিপূর্ণ। এক একটি বিচ্ছু খচ্চরের মত উঁচু ও মোটা। বে নামাযীদেরকে দংশন করার জন্যই এগুলিকে সৃষ্টি করা হয়েছে। [ফাযায়েলে নামায]
চ. বে-নামাযীর কোন ওজর আপত্তি গ্রহণ করা হবেনা
১. শাসন ও রাজকার্য বা চাকুরীর ওজরঃ
শাসন ও রাজকার্যে নিয়োজিত ব্যক্তি বা সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন পদে চাকুরীরত ব্যক্তিরা যদি এসব দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে কিয়ামতে ওযর পেশ করে যে, এসব কাজের ব্যস্ততার কারণে নামায পড়তে পারিনি।
আল্লাহ তা’য়ালা তখন হযরত দাউদ আ., হযরত সোলাইমান আ. প্রমুখ রাষ্ট্রনায়ক ও সরকার পরিচালনাকারী নবীগণকে হাজির করে বে-নামাযীকে প্রশ্ন করবেন, রাজত্ব বা সরকারী চাকুরী যদি নামাযের পথে বাঁধা হতো, তাহলে তাঁদের ও নামায তরক করতে হত। অথচ তাঁরাতো কখনো নামায ত্যাগ করেন নাই। অতএব, তোমার অলসতাই তোমার নামায ত্যাগ করার কারণ। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা ফেরেশতাকে বলবেন, যাও, একে জাহান্নামে নিক্ষেপ কর।
২. রোগ-যন্ত্রণা বা স্বাস্থ্যহানীর ওজর ঃ
কেউ যদি কিয়ামতে এ ওজর পেশ করে যে, রোগ-যন্ত্রণা ও স্বাস্থ্যহানীর দরূন আমি নামায পড়তে পারিনি, তখন আল্লাহ তা’য়ালা কঠিন পীড়াগ্রস্ত আইউব আ. কে হাজির করে বে-নামাযীকে প্রশ্ন করবেন যে, তুমি মিথ্যাবাদী, কারণ, রোগ যদি সত্যিই নামায পড়তে বাধা হত তাহলে আইয়ুব একবার ও নামায পড়তে পারতেননা। অথচ তিনি এক মুহূর্তের জন্যও আল্লাহকে ভূলে যাননি। সুতরাং রোগ বা স্বাস্থ্য খারাপ হওয়া তোমার ছলনা মাত্র। অলসতা করে তুমি নামায পড়নাই। এরপর ফেরেশতাকে বলবেন, যাও, একে জাহান্নামে নিক্ষেপ কর।
৩. রুজি-রোজগারে অত্যধিক ব্যস্ত থাকার ওজর ::
এক ব্যক্তি কিয়ামতে বলবেন, হে আল্লাহ, পরিবার পরিজনের লালন-পালন এবং তাদের জন্য খাদ্য উপার্জনে সারাক্ষণ ব্যস্ত ছিলাম বিধায় নামায পড়ার সুযোগ হয়নি। তখন হযরত ইয়াকুব আ. কে হাজির করে ঐ বে-নামাযীকে বলবেন, তেমাদের মধ্যে কার সন্তান-সন্ততি বেশী ছিল? সন্তানের বিয়োগ ব্যাথায় তুমি বেশী কষ্ট পেয়েছ, না ইয়াকুব বেশী কষ্ট পেয়েছে? তার পুত্র ইউসুফকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে শেষ পর্যন্ত অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর কোমর বেঁকে গিয়েছিল। বার্ধ্যক্যের কারণে কষ্টে কালযাপন করেছে। কিন্তু এক বারের জন্য ও সে নামায ত্যাগ করে নাই। অতঃপর ফেরেশতাকে বলবেন, যাও, একে জাহান্নামে নিক্ষেপ কর।
৪. স্বামীর সংসারে অত্যধিক কাজ কর্মের ওজর
কিয়ামতে আল্লাহর আদালতে একজন বে-নামাযী মহিলাকে নামায না পড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলবে, হে আল্লাহ! আমার স্বামীর সংসারে বহু কাজকর্ম ছিল এবং তার ভয়ে সবসময় অস্থির থেকে সংসারের নানাবিধ কাজে সারাক্ষণ লিপ্ত থাকতাম। একারণে নামায পড়ার কোন সময়ই পাইনি।
আল্লাহ তা’য়ালা তখন ফেরাউনের স্ত্রী বিবি আছিয়া রা. কে হাজির করবেন এবং বে-নামাযী মহিলাটিকে বলবেনঃ দেখ, স্বামীর জুলুম নামাযের পথে বাঁধা হলে আছিয়া কিছুতেই নামায পড়তে পারতনা। কেননা আছিয়ার স্বামী ফেরাউন ছিল তোমার স্বামীর চেয়ে অধিকতর বড় জালিম। আজ তোমার ওজর সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। তুমি অলসতা করেই নামায পড়নাই। অতঃপর ফেরেশতাকে নির্দেশ দিবেন। যাও, একে জাহান্নামে ফেলে দাও। [রুহুল বয়ান, মেরী নামায]